বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজার সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভৌত বিজ্ঞান ভবনে গ্রন্থাগারের সাথে সংযুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের ওয়াশরুমের জন্য এ বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু জুন মাসে অর্থ বছর শেষ হলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ।
অনেকে দাবী করছেন, বরাদ্ধের ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে বরাদ্দের টাকা হজম করতে মেয়াদ শেষের পরেও গোপনে তড়িঘড়ি করে কোনরকম ভাবে ওয়াশরুম নির্মানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাতে গত অর্থ বছরের বলে চালিয়ে দেয়া যায়।
এ নিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পার্থ সারথি সৌম্য বলেন, কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কমপ্লেক্সে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে টিকাদারের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নানা কারণে হয়ত সেই কাজ করা হয়নি। এখন সেই কাজ সম্পাদন করলে সমস্যা হবেনা। আমাদের কাজ দরকার।
অভিযোগ উঠেছে, একইভাবে কলেজের উন্নয়নের জন্য সরকারী বরাদ্ধের লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করা হয়েছে বলেও ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে । কলেজের শহীদ মিনার নির্মানের নামে বরাদ্ধের টাকা গায়েব, প্রধান ফটকের গেইট নির্মান নিয়েও রয়েছে জটিলতা। স্বাধীনতা ভবন নামে মাত্র সংস্কার, আবাদি কৃষি জমি ইজারা জালিয়াতিরও অভিযোগ রয়েছে। করোনা কালীন এপ্রিল, মে ও জুন মাসে একটি ব্যাংকের কলেজের হিসাব থেকে অস্বাভাবিক টাকা উত্তোলন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত: